পাবনা সদর উপজেলার নলদহ দক্ষিন পাড়া গ্রামে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ,এ.আই.এইচ. ডি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং পাবনা সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান ৬৪ প্রদর্শনীর সার্বিক বাস্তবতা প্রদর্শন, অর্থাৎ রোপন, সার প্রয়োগ, আন্ত:পরিচর্যা, বালাই দমন ইত্যাদি বিষয়সমূহ স্থানীয় ইউনিয়নের সকল চাষীদের দেখানোর উদ্দেশ্যে এক মাঠদিবস গত ৮মে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ দক্ষিন পাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।
সর্ব সাধারনের দেহের জিংকের ঘাটতি পূরনার্থে সম্প্রতি উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান ৬২ এবং ব্রি ধান-৬৪ বাংলাদেশের সকল জেলায় ব্যাপক হারে আবাদের জন্য সরকারী - বেসরকারী পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানসমূহ জোরে সোরে চাষী উদ্বুদ্ধকরন, প্রদর্শনী প্লট স্থাপনের মাধ্যমে কলাকৌশল ও ফলাফল প্রদর্শন, চাষী সমাবেশ, সভা সেমিনার ইত্যাদি কাজ সমূহ চলছে সমান তালে।
ধানের প্রদর্শনী প্লট প্রদর্শনের এ মাঠ দিবসে পাবনা সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাষী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জিংক ঘাটতি সমস্যার নেতিবাচক দিক ও মানব দেহে জিংকের সুফল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিঃ উপপরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দিন আহমেদ, পাবনাস্থ চ্যানেল আইটিভি’র জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আখতারুজ্জামান আখতার, বিশিষ্ট সাংবাদিক নরেশ মধু, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এ.টি.এম ফজলুল করিম এবং হারভেস্ট প্লাস সংস্থার কুষ্টিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার জিংক সমৃদ্ধ ধান- ৬২ ও ৬৪ এর নানাবিধ উপকারিতাসহ এর আবাদের লাভ জনক দিক উপস্থিত চাষীদের সামনে উপস্থাপন করেন।
অন্যদের মধ্যে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিরাজ উদ্দিন, জিংক ধান আবাদকারী চাষী মোঃ আফতাব হোসেন ও দেয়ানত আলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
শেষে কর্মকর্তাগন সাংবাদিক গনের সাথে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান- ৬৪ এর প্রদর্শনী প্লটে ফটো সেশন করেন এবং মাঠ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।